কৃমি সংক্রামণ একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি। এই রোগে শিশুদের বেশি ভুগতে দেখা যায়,তবে বড়রাও কম ভোগেন না। কখনও কখনও অবহেলার কারণে এই রোগ জটিল রোগের কারণ হয়।কিছু কৃমি আছে যাদের খাবারই হলো মানুষের রক্ত!
.
কৃমি আকারে এতটাই ছোট যে প্রায় দেখাই যায় না।তবে প্রকারভেদে কিছু কিছু কৃমি আকারে বড়ও হয়ে থাকে।
.
কৃমি মানুষের শরীরের বিভিন্নভাবে প্রবেশ করতে পারে।কৃমি সংক্রামনের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে,

অস্বাস্থ্যকর খাবার।

অনিরাপদ পানি।

খালি পাঁয়ে চলা।

নখ পরিষ্কার না রাখা।

স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে থাকা।

খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর ভালো করে হাত না ধোয়া।ইত্যাদি
.
কৃমি সংক্রামণের লক্ষণ,

অস্থিরতা, অকারণে

অতিরিক্ত চিন্তা,

অবসাদে ভোগা,

আত্মহত্যাপ্রবণ হওয়া।

মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার অতিরিক্ত ইচ্ছা।

রক্তাল্পতা এবং আয়রন ডেফিশিয়েন্সি। কৃমি থাকলে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমতে কমতে অ্যানিমিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়া, র্যাশ, অ্যাকনে, চুলকুনি ইত্যাদি হওয়া।

মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া।

ঘুমনোর সময়ে মুখ থেকে লালা পড়া।

ফুড অ্যালার্জি।

খিদে না পাওয়া।

মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলে সমস্যা।

অকারণে ক্লান্ত হয়ে পড়া।

গা-হাত-পা ব্যথা।

নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।

স্মৃতিভ্রম হওয়া।
.
এতো এতো সমস্যার কারণ এই ছোট পরজীবী প্রাণীটি। ভাবা যায়! কিন্তু আসলেই তাই।এই কারণে অল্পতেই সচেতনতার সাথে কৃমি সংক্রামণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।