দাদ হওয়ার কারণ কি? কারা এটি দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি?

0
218

মাথার দাদ,

এটাকে হেড রিংওয়ার্ম ও বলা হয়।এটি হয় ট্রিকোফাইলন ও মাইক্রোস্ক্রোরা ফ্যাংগাসের কারণে এটা সৃষ্টি হয়।

ট্রিকোফাইলনের মধ্যে টি টন্সেরাস জীবাণু দ্বারা মাথার দাদ বেশি হয়।

 

  • এটি হওয়ার কারণ

১।শিশুদের মধ্যে বেশী দেখা দেয়।

২। ভয়ানক ছোঁয়াচে রোগ।অনেক সময় এটা অতিরিক্ত ছড়িয়ে যায়।

৩।মাথায় চুলকানি হয়,গোলাকারভাবে র‍্যাশ বের হয়।কোনো কোনো জায়গা চুল ভেঙে খোসে পড়ে যায়।

৪।টাকের মত সৃষ্টি হয় তবে সাধারণ টাকের মত মসৃণ বা তেলতেলে নয়।ছড়িয়ে ছিটিয়ে চুলের গোড়া থেকে উঠে যায়।

৫।অনেক সময় লাল আঁশের মত র‍্যাশ মাথায় দেখা দেয়।

৬।এ সংক্রমণ  মাথার অল্প একটি অংশে থাকতে পারে অথবা চক্রেকার বা প্যাচ করে সারা মাথায় থাকতে পারে। ( বেশি ইম্পোর্টেন্ট)

৭। অনেক সময় মাথার চারিপাশে পুজ পূর্ণ ফুসকুড়ি দেখা যেতে পারে।

 

দাদ কোথায় হয়?

দাদ শুধু মাথায় না শরীরে  সব জায়গা ই হতে পারে,দেহে হতে পারে। কুঁচকিতে হতে পারে।

সেক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।কারন অনেক সময় দেখা যায় রানে বা কুঁচকিতে হলে সেটা অনেক কষ্টকর হয়।চলতে-ফিরতে,বসতে অনেক অসস্তি হয়।

ছোট ছোট ফুসকুড়ি হলে আরো বেশি কষ্ট হয়।

কুঁচকি জায়গাটা ঘামের কারনে আরো জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়।

তাই এ ব্যাপারে আমাদের আরো সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

অনেক সময় দেখা যায় কুচকির দাদে ফুসকুড়ি হয়ে আরো জটিল অবস্থা হয়।

 

আবার দেখা  যায়  একবার চলে যাওয়ার পরেও দাদের আবার পুনরায় আগমণ ঘটে। তাই একটা অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত দাদ্ চর্মে থাকে।

কাদের এটি হতে পারে?

১।যারা আঁটসাঁট কাপড় পরে।

২।বেশি ঘামে।

৩।অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন থাকে।

৪।অতিরিক্ত মোটালোকদের।

এছাড়াও যাদের এই ধরনের ভাইরাস বা সংক্রমনের হার থাকে তাদের দাদ দেখা যায়।

সাধারনত গরমকালে এ রোগটি দেখা যায়।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেখা যায় বাহ্যিকভাবে মলম বা কনো ক্রিম ব্যবহারের দ্বারা এটা ভালো হয়ে যায়। যতদিন ব্যবহার করে ভালো থাকে আবার যখন ব্যবহার বন্ধ করে তখন সেটা আবার ফিরে আসে।

কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে বাহ্যিকভাবে কিছু ব্যবহার করা নিষেধ।

ধাপে ধাপে ট্রিটমেন্ট করতে হবে এবং সময় নিয়ে ট্রিটমেন্ট করতে হবে।

অনেক সময় দেখা যায় মেডিসিনের পর দাদ মিলিয়ে যাচ্ছে,রুগী ভাবছে এটা ভালো হয়ে যাচ্ছে তাই মেডিসিন আর কন্টিনিউ করতে চায় না,আগ্রহ প্রকাস করে না ।তবে যদি মেডিসিনের পাওয়ার এবং পটেন্সিটা বাড়িয়ে শেষ অব্দি নিয়ে গেলে এটা আর ফিরে আসে না।কিন্তু অল্পতে মেডিসিন বন্ধ করা উচিত না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here