
সুখ-দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন। একজন মানুষ আজীবন সুখে থাকবে তা যেমন অসম্ভব,আজীবন দুঃখে থাকাটাও অস্বাভাবিক। আর সুখে মানুষ আনন্দিত হবে,দুঃখে হবে ব্যাথিত..এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। কিন্তু কখনও কখনও জীবনের যে কোনো পর্যায়ে একজন মানুষ টানা মন খারাপ লাগায় আক্রান্ত হন…এইটা প্রাকৃতিক নয়; রোগের লক্ষণ।
*একটা দুসপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে মন খারাপ থাকা স্থায়ী হলে সেটাই বিষন্নতা। আরো কিছু লক্ষণ আছে এই বিষন্নতার। এটি যে শুধু মানসিক অসুখ তা ই নয়,নানা শারীরিক জটিল সমস্যার মূল কারণ হিসেবে কাজ করে।
* বিষন্নতার কারণে যেসব রোগের সূত্রপাত হতে পারে;
– দীর্ঘদিন ক্ষুধামন্দা ভাবের ফলে শরীর অপুষ্টিতে ভোগা।
– সহজে রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবনতা বৃদ্ধি পাওয়া।
– হরমোনাল ইমব্যলেন্স হওয়া।
– মেয়েদের পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়া।
– পাকস্থলির এসিডি বৃদ্ধি পেয়ে জটিল আকার ধারণ করা।
– ব্রেইন এর জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়া।
.
বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা না যে,এই মানসিক রোগটি মোটেই অবহেলার বিষয় না। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে খুবই যত্নসহকারে মানুষের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে বলে আস্থার সাথে একজন দক্ষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের সরনাপর্ণ হয়ে চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে।
*বিষন্নতা রোগের লক্ষণ, আমেরিকান সাইক্রিয়াটিক এসোসিয়েশন বিষণ্ণতার নয়টি লক্ষ্মণ উল্লেখ করে বলেছে কারও মধ্যে এর মধ্যে অন্তত পাঁচটি টানা দু সপ্তাহ বা তারচেয়ে বেশি সময় দেখা গেলে সেটি বিষণ্ণতা হতে পারে।
এগুলো হলো:
১.দিনের বেশির ভাগ সময় মন খারাপ থাকা।
২.যেসব কাজে আনন্দ পেতো সেসব কাজে আনন্দ ও আগ্রহ কমে যাওয়া।
৩.ঘুম অস্বাভাবিক কম বা বাড়তে পারে।
৪.খাবারে অরুচি তৈরি হওয়া বা রুচি বেড়ে যাওয়া।
৫.ওজন কমে যাওয়া।
৬.নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা বা নিজেকে দায়ী মনে হওয়া।
৭. সবকিছুতে
সিদ্ধান্তহীনতা বা মনোযোগ কমে যাওয়া ।
৮.কাজে ও চিন্তায় ধীরগতি হয়ে যাওয়া।
৯.খুব তীব্র হলে আত্মহত্যার চিন্তা পরিকল্পনা ও চেষ্টা করে