
অনেক শিশুদেরই ভয়ানক কোষ্টবদ্ধতা দেখা যায়। বিভিন্ন কারনে এই কোষ্টবদ্ধতা হতে পারে;
যেমন বুকের দুধ খায় এমন ছোট বাচ্চাকে কৌটার দুধ খাওয়ানোর ফলে কোষ্টবদ্ধতা হয়ে থাকে।
তাছাড়াও শিশুদের বিভিন্ন রকম হজমের সমস্যার কারনেও কোষ্টবদ্ধতা দেখা দেয়।
জেনেটিক কারনেও এটি হতে পারে যেমন যদি বাবা মায়ের কোষ্টবদ্ধতা থেকে থাকে তাহলে সেই পরিবারের বাচ্চার কোষ্টবদ্ধতার সমস্যা হয়ে থাকে।
হোমিওপ্যাথিতে কোষ্ঠবদ্ধতার একক কোন মেডিসিন নেই।বাচ্চার লক্ষন অনুসারে অথাৎ বাচ্চার দৈহিক, মানষিক লক্ষন বিবেচনার মাধ্যমে মেডিসিন দেওয়া হয়।
সেক্ষেত্র আমরা কিছু মেডিসিন এর লক্ষন বলতে পারি যেমন
এলুমিন ————- শিশুদের সাধারণত ভয়ানক কোষ্টবদ্ধতা থাকে।সহজে তাদের মল বের হতে চায় না।অনের কোথ দিতে হয়,কোথ দেওয়ার পর মল বের হয়।সাধারণত তারা কিছু খেতে চায় না।বাচ্চার দেহ অনেক শীর্ণ থাকে কিন্তু বাচ্চা মাটি,কয়লা, এরকম কুখাদ্য খাওয়ার প্রতি আগ্রহ থাকে।বাচ্চা ভাত খেতে চায় না।
ব্রায়োনিয়া ———- এটা সাময়িক ভাবে যে সমস্ত বাচ্চার কোষ্টবদ্ধতা থাকে সেসব বাচ্চাদের দেওয়া হয়।অনেকের আছে দুই কি একদিন পর পর বাথরুম হচ্ছে তাছাড়ও এ সমস্ত রুগিদের পিপাসা বেশী থাকে। ঘন ঘন দুধ পান করে, জিহ্বায় সাদা ময়লা হয়ে থাকে।
গ্রাফাইটিস——-এই ঔষধের বাচ্চারা থাকে সাধারণত থলথলে,মোটাসোটা শিশু। তাদের মল শক্ত থাকে এবং মলের চারপাশে আম জড়ানো থাকে। শিশুর শরীরে, কানে চর্মপীড়া সমস্যা থাকে এবং এধরণের শিশুদের সেই চর্মপীড়া থেকে ঘন এবং আঠালো কষ বের হতে দেখা যায়।
লাইকোঃএই মেডিসিন হচ্ছে দেখতে এমন শিশুর জন্য যার সাধারণত উপরের অংশ সরু বা শীর্ন থাকে আর নিম্নাংশ পুষ্ট থাকে। সাধারণত এই ধরনের শিশুরা মিষ্টি বেশী পছন্দ করে,কৃপন স্বভাবের হয়।তারা কাওকে কোন কিছু দিয়ে খেতে চায় না।খাবারের জন্য পয়সা দিলেও সেটা দিয়ে না খেয়ে জমিয়ে রাখে। অন্য বাচ্চাকে কিল,চড়, থুথু দিয়ে দৌড় দেয়।অনেক ক্ষিধে লাগে তাদের কিন্তু দেখা গেছে তারা দুইএক গ্রাস খেয়ে আর খেতে পারে না,পেট ভরে গেছে এরকম মনে হয়।এসমস্ত শিশুদের খুবি মেজাজ খারাপ থাকে এজন্য তারা লাথিও মারে।
আমরা আরও কিছু মেডিসিন দিয়ে থাকে কোষ্টবদ্ধতার জন্য যেমন **ম্যাগ্নেশিয়া মিউর,নেট্রাম মিউর,সাইলিশিয়া,টিউবারকুলিনাম