এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। “সারকপটিস স্ক্যাবি” নামক ক্ষুদ্র মাইটের সংক্রমণে এটি হয়ে থাকে। এ পরজীবীটি উষ্ণ পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে। স্ত্রী মাইটগুলো ছয় সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে ডিম পাড়ে। পরে ডিমগুলো থেকে বাচ্চা মাইটের জন্ম হয়।ধীরে ধীরে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায়।
যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে, সেহেতু খুব সহজেই পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হয়।
* সাধারণত একই বিছানায় শোয়া বা ঘনিষ্ঠ মেলামেশা থাকলে, *একই কাপড়-চোপড় ব্যবহার করলে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে।
* এমনকি একসঙ্গে খেলাধুলা করলে, *আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচর্যাকারীদেরও হতে পারে স্ক্যাবিস।
মাইট শরীরের বাইরে
অর্থাৎ কাপড়-চোপড়, কাঁথা-বালিশ, আসবাবপত্রে দুই থেকে তিনদিন বেঁচে থাকতে পারে। ফলে এ সময় এগুলো কেউ ব্যবহার করলেও হতে পারে খোস পাঁচড়া।
শরীরের উষ্ণ অংশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্ক্যাবিস হয়ে থাকে। সাধারণত, হাতের আঙুলের ফাঁকে, কবজিতে, কনুই ও কনুইয়ের সামনের ভাগে, স্তনের বোঁটায়, স্তন ও বুকের ত্বকের মাঝে, নাভি, তলপেট এবং যৌনাঙ্গের আশপাশে এবং শরীরের ভাঁজগুলোতে। তা ছাড়া পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গের অগ্রভাগে এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাত ও পায়ের তলায়, মাথায়, ঘাড় ও গালেও দেখা যায়।