![87131344_850431045400988_7227408044714360832_n](https://www.takiyahomeocare.com/wp-content/uploads/2020/08/87131344_850431045400988_7227408044714360832_n.jpg)
**সাময়িক শ্বাসকষ্ট, তার সাথে বুকের মধ্যে চাপ ও কষে ধরা বোধ,সাইসাই শব্দ হলে তাকে হাপানি বলে।
হাঁপানিতে শ্বাসনালীর পেশিসমুহের আক্ষেপ এবং বুকের পেশি সমুহের সংকোচন হয়ে থাকে। এজমা কয়েক প্রকারের হয়
**Bronchial Asthma
**Spasmodic Asthma
**Cardiac Asthma
এজমার কারনঃ
১- বংশগত কারন
২- অতিশয় দুর্বলবলতা এবং নিশ্বাসের জন্য বায়ুতে পর্যাপ্ত পরিমানে অক্সিজেনের অভাব।
৩- পুরাতন ব্রংকাইটিস
৪-ফুসফুসে পেশির আক্ষেপ হলে
৫- ফুসফুসের দুর্বলতার কারনে Air sac গুলোর ক্রিয়া শক্তি নষ্ট হলে।
৬- ধুলাবালি,কুকুর,ঘোড়া,গরু প্রভৃতির দেহের গন্ধ শ্বাস নালির মদ্ধে প্রবেশ করলে।
৭- ঠান্ডা,জলাভূমি, আদ্রতা বায়ু,অতিরিক্ত খাবার খাওয়া,জরায়ুর পীড়া,অম্ল রোগের কারনে এজমা হতে পারে।
**এজমার লক্ষ্মণ ঃ
১ঃএজমা রুগি সবসময় অসুস্থ থাকে না,টানের সময় কষ্ট পায়, টান কমলে আবার সুস্থ হয়। আমবস্যা বা পুর্ণিমাতে রোগ বেরে যায়।
২-শ্বাস কষ্ট এমন ভাবে হয় যেন বুট আটকে রয়েছে।
৩- রোগী শুয়ে থাকতে পারে না ওঠে বসতে বাধ্য হয় এবং কাশতে কাশতে আস্থির হয়ে পরে
৪- বুকের মধ্যে সাঁইসাই শব্দ হয়,শ্বাস টেনে টেনে নিতে হয়।
৫ -রুগি বিছানায় উঠে বসে,সামনের দিকে মাথা নিচু করে রাখে। রুগি উপুর হয়ে থাকে,এবং দম বন্ধ ভাব হয়।
৬- শ্বাস টানের সাথে সাথে পেটে বায়ু জমে। টান বেরে গেলে মাথা ধরা ও বমি ভাব হয়।
৭- বাত রুগের লক্ষন ও থাকতে পারে। গয়ার যত বেশি আঠালো বা শক্ত হয় তত বেশি কষ্ট হয়। ভিতরের প্রচুর গয়র তরল হলে এবং সেটা প্রচুর পরিমানে বের হলে রুগি আরাম পায়। বাতাস পেলে রুগি আরাম বোধ করে সেজন্য দরজা জানালা খুলে দিতে হয়।
এজমার ক্ষেত্রে যেসমস্ত কাজ কিরা উচিতঃ
এজমা আক্রান্তের সময় গরম পানি বাষ্প নিলে অথবা গায়ের কাপর খুলে রাখা ভাল কারল তখন রুগি আরাম পায়। জলবায়ু পরিবর্তন করাটাও উপকারি,রাতের খাবার কম খেতে হবে। এজমা রুগির ভাত মাছ, শাকসব্জি,লেবু খাওয়া উপকারি তবে চিংরি,কচু,ডিম,ডাল না খাওয়াই ভাল।
এজমা রুগির ক্ষেত্রে হোমিও মেডিসিন হলঃ
১;ব্লাটা অরিয়েন্ট—–ব্রংকাইটিস এর সাথে থাকলে এটি খুবি উত্তম ঔষধ।এটি মোটাসোটা স্বাস্থবান রুগির ক্ষেত্রে উপকারি।
২-এন্টিম টার্ট—পুরাতন এবং বৃদ্ধদের হাপানি। বুকে কফ জমে থাকে বিধায় গলার স্বর মোটা এবং ঘরঘর শব্দ করে
৩-আর্সেনিক—- রাত্রে ২ প্রহরের পর এজমার টান বেরে যায়। এসময় উদ্ধেগ, ছটফটানি,মৃত্যু ভয় থাকে। অতিশয় শ্বাস কষ্ট,শ্বাস রোধ হওয়ার ভয় এবং তারা শুয়ে থাক্তে পারে না বসে পরে।
৪-কার্বোভেজ— রুগি অতিশয় দুর্বল, জীর্ণ শীর্ণ হয়। হাপানি আক্রমনে রুগি মনে করে তার মৃত্যু হবে। তার শরিরের ঘাম শিতল,শ্বাস কষ্ট, ফ্যাকাশে মুখ হয়।
এছাড়া লক্ষন অনুসারে এমন কার্ব,ব্রোমিয়াম,নেট্রাম সাল্ফ,কুপ্রাম মেট,ডালকামরা ইত্যাদি ঔষধ দেওয়া যেতে পারে।