নিউমোনিয়া কিঃ
শ্বাসতন্ত্রের যে কোনো অংশের হঠাৎ সংক্রমণ হয়ে ফুসফুস পর্যন্ত বিস্তার লাভ করলে, অর্থাৎ ফুসফুসের প্রদাহ হলে তখন তাকে নিউমোনিয়া বলে।
সহজ কথায় ফুসফুসের প্রদাহই নিউমোনিয়া।
যে কোনো প্রদাহ হলে যেমন-ব্যথা, ফোলা ও জ্বর হয় এ ক্ষেত্রেও তাই হয়।
যেসব শিশুদের নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ঃ
-**পর্যাপ্ত পরিমাণে ও সঠিকভাবে বুকের দুধ খাওয়ানো হয় না এমন শিশুর।
-**ঘনবসতি, দূষিত পরিবেশ ও ঠান্ডা বা ভেজা আবহাওয়ায় অবস্থানরত শিশুর।
-**পুষ্টিহীন ও ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবগ্রস্ত শিশুর। উল্লেখ্য, ডায়রিয়া হলে বাচ্চাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ বের হয়ে যায়।
-**কম ওজন নিয়ে জন্ম গ্রহণকারী শিশুর। উল্লেখ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ’র মতে একটি শিশুর জন্মের সময় স্বাভাবিক ওজন কমপক্ষে আড়াই কেজি হওয়া উচিৎ।
# নিউমোনিয়া হলে শিশুর অবস্থাঃ
-১.সর্দি কাশি প্রথম থেকেই লেগে থাকে।
-২.শ্বাস দ্রুত হয় অর্থাৎ শ্বাস প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়।
–
৩জ্বর হয়। আবার মারাত্মক অবস্থায় কখনো কখনো স্বাভাবিকের চেয়ে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়।
৪-শিশু স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া করতে পারে না। মারাত্মক অবস্থায় শিশু মায়ের বুকের দুধ কিংবা তরল খাবার পর্যন্ত খেতে পারে না।
–
৫.শিশুর শ্বাসতন্ত্রে শ্লেষা অর্থাৎ সর্দি কাশি লেগে থাকে। ফলে, শিশুর শান্ত অবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাসে ঘড়ঘড়ে শব্দ পাওয়া যায়।
৬.শ্বাস নেওয়ার সময় বুক ভেতরের দিকে চেপে যায়। যা মারাত্মক অবস্থা জ্ঞাপন করে।
ক্ষেত্র বিশেষে শিশুর অস্বাভাবিক ঘুম ঘুম ভাব। এমন অবস্থায় শিশুকে সহজে জাগানো যায় না।
–
৭.শ্বাস-প্রশ্বাসে সাঁই সাঁই শব্দ। হাঁপানির ন্যায়।
–
৮.মারাত্মক অবস্থায় প্রচন্ড জ্বরের সঙ্গে খিচুনি।