
সিফিলিস রোগের উৎসঃ Treponema pallidum নামক ব্যাকটেরিয়া ।
রোগের শিকারঃ নারী পুরুষ উভয়ই ।
রোগ যেভাবে ছড়ায়ঃ
১. আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে অনিরাপদ যৌনমিলনে।
২. রোগাক্রান্ত ব্যাক্তির রক্ত শরীরে গ্রহন করলে।
৩. আক্রান্ত মা যে শিশুর জন্ম দেয় যেই শি…
৪. আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে অনেকক্ষণ শারীরিক সংস্পর্শে থাকলে।
৫. আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে অনেকক্ষণ চুমু খেলে।
৬. আক্রান্ত মায়ের দুধ পান করলে মনে রাখবেন, এই রোগ কখনই খাওয়ার পাত্র, চামচ, গামছা বা টাওয়েল, ন্যাপকিন, সুইমিং পুল, বাথটাব, কিংবা ব্যবহৃত জামাকাপড় দিয়ে ছড়ায় না।
রোগের প্রকোপ অনুসারে এই রোগের চারটি ধাপ আছে। সেগুলো হল:
১. প্রাইমারিঃ এই অবস্থায় আক্রান্ত হবার তিন সপ্তাহের মধ্যেই রোগীর শরীরে পোকার কামড়ের মত গোল গোল দাগ দেখা যায়।
মাঝে মাঝে এগুলা ব্যাথাহীন এবং শক্ত হয়ে দেখা দেয় । একে শ্যাঙ্কার বলা হয়।
২. সেকেন্ডারিঃ এই অবস্থায় সাধারনত শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুল্কানির র্যাশের মত হয় এবং নিয়মিত জ্বর, ওজন কমে যাওয়া এবং লিম্ফ্যাটিক গ্ল্যান্ড ফুলে যায় । এছাড়া কুঁচকিতে ভেজা ফোস্কার মত দেখা দিতে পারে।
৩. ল্যাটেনটঃ এই অবস্থায় রোগ সুপ্ত অবস্থায় থাকে।
৪. টারশিয়ারিঃ এটা অনেকদিন চিকিৎসা না করলে হয়। এই অবস্থায় রোগীর হার্ট , চোখ, ব্রেইন এবং নার্ভে সিরিয়াস
সমস্যা দেখা দেয় এবং রোগী সাধারনত বাচে না। এসকল লক্ষন বা উপসর্গ দেখা দিলে সিফিলিস টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হন আপনার সিফিলিস হয়েছে কিনা।